শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্কুলে ও পথে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

স্কুলে ও পথে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

স্বদেশ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও উৎকণ্ঠা রয়েছে। তাই শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয় ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াতের সময়েও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন। গতকাল শনিবার আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি এ পরামর্শ দেন।

ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘স্কুল খুলছে, খুবই খুশির খবর। শিক্ষা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে যে গাইড লাইন দিয়েছে, সেটি যথাযথ মেনে চলতে হবে। আগে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি জানবেন। এর পর এটি মেনে চলবেন। এ বিষয়ে অভিভাবকরাও সচেতেন থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা যখন বাড়ি থেকে বাইরে বের হবেন, রাস্তায় পরিবহনে সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সন্তানদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সহযোগিতা করবেন অভিভাবকরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা ক্লাসে যাদের সঙ্গে মিশবে এর বাইরে যেন কারো সঙ্গে না মেশে সতর্ক থাকতে হবে। কারো দ্বারা যদি সংক্রমিত হয়, সেটা যেন গোটা স্কুল বন্ধ করতে না হয়। শুধু একটা ক্লাস বন্ধ করলেই যেন হয়।

স্কুলে প্রবেশের সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। যারা অসুস্থ হবে তাদের দ্রুত টেস্ট করতে হবে। কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থী যদি সংক্রমিত হয়, তার সংস্পর্শে যারা ছিল তাদের কোয়ারেন্টিন থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার সুযোগ নেই, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের পরিবারে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা নিতে হবে উল্লেখ করে ডা. মোশতাক বলেন, ‘যখন শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা হবে, তারাও যেন টিকা নেয় এ জন্য উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। কারণ সামনে যদি আরেকটি সংক্রমণের ঢেউ আসে তখন বয়স্ক যারা টিকা নেয়নি তাদের ঝুঁকি বেশি থাকবে। টিকা নিলে যে করোনা সংক্রমণ হবে না, তা নয়। তার ঝুঁকি কম থাকবে। স্কুলের ক্লাসের সময়টা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়Ñ যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষুধা না লাগে। তাদের যেন মাস্ক খুলে খেতে না হয়। তবে এটি খেয়াল রাখতে হবে। যেসব স্কুলে বাচ্চাদের দুপুরের খাবার দেওয়া হতো, সেটি যে বন্ধ না হয়। এখন ওই খাবারটা তাদের প্যাকেটজাত করে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় গিয়ে খাবে। কারণ দরিদ্র পরিবারের শিশুদের এই খাবার দেওয়ার লক্ষ্য ছিল তাদের স্কুলে আনা এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877